মোঃ ইমরান হোসেন | মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গলে বেলতলী গ্রামে ১সন্তানের জননী আয়েশা আক্তার (২৩) এর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী আলাল মিয়া পূর্বপরিকল্পিত(৩০)গত ২৭ ডিসেম্বর গ্রেফতার করার পর অবশেষে গত কাল ২৯ ডিসেম্বর তার শশুর ইউনুছ মিয়া (৫০) ও দেবর জসিম মিয়া (২২)কে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সকালে মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামী আয়েশার শশুর ইউনুছ মিয়া (৫০) ও দেবর জসিম মিয়া (২২), ননদ ফরিদা বেগম (২৫) ও শাশুরী দিলারা বেগম মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত শশুর ইউনুছ মিয়া (৫০) ও দেবর জসিম মিয়াকে কারাগারে প্রেরণ এর নির্দেশ প্রধান করেন এবং অন্যান্য বিশেষ বিবেচনায় ফরিদা বেগম ও দিলারা বেগমকে জামিন প্রদান করেন।
গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার এর নির্দেশে এসআই রাকিবুল হাসান রকিব অভিযান পরিচালনা করে সিন্দুরখান বাজার এলাকা থেকে আলালকে আটক করা হয়।গত কাল ২৭ ডিসেম্বর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে- গত ১ ডিসেম্বর ১ সন্তানের জননী আয়েশা আক্তার স্বামীর বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন স্বামী আলাল মিয়া ও ফরিদা বেগম গংরা।
এ ঘটনায় আয়েশা আক্তার এর মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে বেলতলী গ্রামের আলাল মিয়া (৩০), ইউনুছ মিয়া (৫০), ফরিদা বেগম (২৫), জসিম মিয়া (২২), দিলারা বেগম (৪৫) সহ ৫জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২/৩জনের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা (সিআর ৫৯৭/২২ইং (শ্রী) দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত বিজ্ঞ কৌঁসুলির বক্তব্য শ্রবন করে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জকে অনুসন্ধান করতে এবং নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
আদালতের নির্দেশে গত ২৬ ডিসেম্বর স্বামী আলাল মিয়াসহ উক্ত ৫জনের নাম উল্লেখ করে শ্রীমঙ্গল থানায় নিয়মিত হত্যা ( মামলা নং- ৩৩, তারিখঃ ২৬/১২/২২ইং) মামলা দায়ের করেন। এবং রাতেই আলাল কে গ্রেফতার করেন শ্রীমঙ্গল থানার এসআই রাকিবুল হাসান রকিব।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।